Posts

ডাটা এন্ট্রি: কর্মসংস্থানের সহজ মাধ্যম

Image
মুহাম্মদ আবুল হুসাইন শিক্ষাজীবনের শুরুতে অনেকের অনেক বড় বড় স্বপ্ন থাকে।কেউ ডাক্তার হবে, কেউ ইঞ্জিনিয়ার হবে, কেউ বিজ্ঞানী হবে ইত্যাদি।কিন্তু নানা কারণে সেই স্বপ্ন পূরণ আর হয় না।অনেকে রেজাল্ট খারাপ করার কারণে কিংবা পারিবারিক-আর্থিক সংকটের কারণে এইট, নাইন বা এসএসসির বেশি আর আগাতে পারে না। আবার চাকরির বাজারও অত্যন্ত কঠিন।ডিগ্রী কিংবা মাস্টার্স পাশ করেও অনেককে বেকার থাকতে দেখা যায়।অনেকে আবার একবারে লাফ দিয়ে গাছে উঠতে চায়, ভাল চাকরি খুঁজতে খুঁজতে বয়স পার করে দেয়। ডাটা এন্ট্রি এমন একটি কাজ, যা সহজেই যে কেউ করতে পারে।মোটামুটি বাংলা ইংরেজি পড়তে ও টাইপ করতে পারলেই হলো।কাজের প্রতি আগ্রহ ও যত্ন থাকলে এইট পাস করেও ডাটা এন্ট্রির কাজ করা সম্ভব।ভাল দক্ষতা অর্জন করতে পারলে ভাল আয় হয়।যত দক্ষতা, যত কাজ, তত টাকা।আর এই দক্ষতা শিক্ষার উপর অনেকটা নির্ভর করে।শিক্ষাগত যোগ্যতা একটু বেশি থাকলে, কিংবা ইংরেজিতে দক্ষতা একটু বেশি থাকলে কাজ যেমন বেশি পাওয়া যায়, তেমনি রেটও ভাল পাওয়া যায়। ডাটা এন্ট্রির একটা সুবিধা হলো- এটা পার্টটাইম করা যায়।তাই, অনেক স্টুডেন্ট পার্টটাইম জব করে নিজের পড়াশোনার খরচ চালানোর পাশা

পুরুষের দেহে টেস্টোস্টেরনের প্রভাব

Image
মুহাম্মদ আবুল হুসাইন অন্তঃস্রাবী ব্যবস্থায়:  দেহের অন্তঃস্রাবী ব্যবস্থা কতগুলো গ্রন্থির সমন্বয়ে গঠিত, যা হরমোন উৎপাদন কাজে নিয়োজিত। হাইপোথ্যালামাস অগ্র মস্তিষ্কের একটি অংশ যা থ্যালামাসের ঠিক নিচে অবস্থিত। সেটি পিটুইটারি গ্রন্থিকে জানিয়ে দেয় আপনার শরীরে কতটুকু টেসটোসটেরন দরকার, তারপর পিটুইটারি গ্রন্থি অন্ডকোষকে সেই বার্তা পাঠিয়ে দেয়। বেশিরভাগ টেসটোসটেরনই তৈরি হয় অন্ডকোষে, তবে অল্প পরিমাণ টেসটোসটেরন আসে অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি থেকে, যা কিডনির ঠিক উপরে অবস্থিত। নারীদের ক্ষেত্রে, অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি এবং ডিম্বাশয় অল্প পরিমাণে টেসটোসটেরন উৎপাদন করে থাকে।  প্রকৃতপক্ষে, একটি ছেলে শিশুর জন্মের আগ থেকেই তার পুরুষ যৌনাঙ্গ গঠনের কাজ শুরু করে দেয় এই টেস্টোস্টেরণ হরমোন। বয়ঃসন্ধির সময় ছেলেদের মধ্যে যে পুরুষোচিত  বৈশিষ্ট্যগুলো সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে, যেমন ভরাট গলা বা কণ্ঠস্বর, পুরুষোচিত বাড়ন্ত শরীর, দাড়ি-গোফ গজানো ইত্যাদির মূলে নিয়ামক হিসেবে কাজ করে টেসটোসটেরন। এটি অবশ্য পেশী ভর এবং যৌন উদ্দীপনা তৈরির পেছনেও ভূমিকা পালন করে। টেসটোসটেরন উৎপাদনের উত্তাল ঢেউ শুরু হয় বয়ঃসন্ধির সময় থেকে এবং এটি সর্বোচ্চ ম

রমজান, কোরআন এবং আমরা

Image
মুহাম্মদ আবুল হুসাইন  রমজান মাস অন্য মাসের মত নয় রমজান মাস অন্যসব মাসের মত সাধারণ কোন মাস নয়। এটি অত্যন্ত পবিত্র মাস, পূণ্যের মাস। রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের মাস মাহে রমজান। এই পুরো মাসটিই ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে পূর্ণ। এই মাসেই পবিত্র কোরআন মজিদ নাযিল হয়েছে। তাই এই পবিত্র মাসে রোজা বা সিয়াম সাধনাকে আল্লাহ্ রাব্বুল আ’লামীন প্রত্যেক ঈমানদার নরনারীর উপর ফরজ বা বাধ্যতামূলক করেছেন। শুধু আল কোরআনই নয়, অন্যান্য প্রধান প্রধান আসমানি কিতাবও রমজান মাসেই নাযিল হয়েছিল এবং একারণে পূর্ববর্তী উম্মতদের উপরও রমজান মাসে সিয়াম সাধনা বাধ্যতামূলক ছিল। যেমন পবিত্র কোরআন মজিদে আল¬াহ রাব্বুল আ’লামীন স্বয়ং বলেন: ‘হে মু’মিনগণ! তোমাদের তোমাদের জন্য সিয়ামের বিধান দেওয়া হইল, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে দেওয়া হইয়াছিল, যাহাতে তোমারা মুত্তাকী হইতে পার।’ -[বাকারা : ১৮৩] রমজান মাসের পুরো সময় রোজা রাখা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ বা মৌলিক ইবাদতের অন্যতম। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন: পাঁচটি স্তম্ভের উপর ইসলামের বুনিয়াদ স্থাপিত। এগুলো হলো- ১.ঈমান- আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহ’র

ধর্ম ও বিবেক: ইসলামী দৃষ্টিকোণ

Image
মুহাম্মদ আবুল হুসাইন: বিবেকের দোহাই দিয়ে দ্বীন-ধর্মকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার একটি প্রবণতা আধুনিক শিক্ষিত এক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে লক্ষ করা যায়। তারা সেকুলার ও বস্তুবাদী জীবন-দর্শনের প্রচার এবং ধর্মমুক্ত জীবন-যাপনের নসীহত দিতে গিয়েই এমনটি করে থাকেন। তাদের মতে, মানুষের বিবেকই তার ধর্ম। বিবেকের কথা মত চলতে পারলে কোরআন কিতাবের প্রয়োজন পড়ে না। আপাত দৃষ্টিতে এ কথাগুলোর মধ্যে চটকদারিতা থাকলেও বস্তুনিষ্ঠতার দিক থেকে চিন্তা করলে তার অন্তঃসারশূন্যতা সহজেই ধরা পড়ে। বিবেকের বড়াই করে যারা দ্বীন-ধর্মকে বিসর্জন দিতে চান; তারা এর মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত যে বলগাহীন প্রবৃত্তির অনুরণকেই কবুল করে নেন তা হয়তো তারা নিজেরাও বুঝে উঠতে পারেন না। আসলে ধর্মহীন সেকুলার জীবন-দর্শনের অন্ধ অনুসরণকে বৈধতা দিতেই তারা এসব কথা বলে থাকেন। সহজ-সরল ও কোমলমতি তরুণদেরকে নাস্তিক্যবাদের দিকে ঠেলে দেয়ার এটি তাদের একটি বিশেষ কৌশল। আমরা মনে করি এটি শয়তানের একটি মারাত্মক কুমন্ত্রণা। শয়তানের বিশেষত্ব হল, যে যেমন তার কাছে সে বেশ ধরেই হাজির হওয়া। যারা বিবেকবোধকে লালন করেন তারা মানব সমাজের মধ্যে অপেক্ষাকৃত ভাল মানুষ। শয়তা